৩০. কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কাকে বলে?
উ : মানুষের চিন্তাভাবনাকে কম্পিউটার প্রযুক্তিনির্ভর যন্ত্রের মধ্যে রূপ দেয়ার ব্যবস্থাকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা AI (Artificial Intelligence) বলে।
৩১. এক্সপার্ট সিস্টেম কী?
উ : এক্সপার্ট সিস্টেম হলো এক ধরনের সিদ্ধান্ত সমর্থন পদ্ধতি বা
নির্দিষ্ট বিষয়ে মানুষের ন্যায় কৃত্রিম দক্ষতা নিয়ে তৈরি।
৩২. রোবোটিক্স কী?
উ : রোবোটিক্স হলো প্রযুক্তির একটি শাখা যেটি রোবোটসমূহের ডিজাইন, নির্মাণ, কার্যক্রম ও প্রয়োগ নিয়ে কাজ করে।
৩৩. রোবোট কী?
উ : রোবোট হলো কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র বা যন্ত্ৰমানব যা মানুষের অনেক দুঃসাধ্য ও কঠিন কাজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে করতে পারে।
৩৪. রোবোট শব্দটির প্রবক্তা কে?
উ : রোবোট শব্দটির প্রবক্তা রাশিয়ান বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লেখক আইজাক অসিমভ।
৩৫. অ্যাকচুয়েটর কী?
উ: একচুয়েটর হলো এমন এক ধরনের মোটর যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঘোরানো বা যান্ত্রিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
৩৬. ক্রায়োসার্জারি কী?
উ: ক্রায়োসার্জারি হলো এমন একটি চিকিৎসা পদ্ধতি যার মাধ্যমে অত্যন্ত নিম্ন তাপমাত্রায় শরীরের অস্বাভাবিক বা রোগাক্রান্ত কোষগুলোকে ধ্বংস করা যায়।
৩৭. ক্রায়োপ্রোব কী?
উ : ক্রায়োসার্জারিতে সুঁইয়ের মতো লম্বা যে যন্ত্রের সাহায্যে আক্রান্ত টিউমারে নাইট্রোজেন ও আর্গন গ্যাস সরবরাহ করা হয় তাকে ক্রায়োপ্রোব বলে।
৩৮. বাংলাদেশের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের নাম কী ?
উ : বাংলাদেশের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের নাম মহাকাশ গবেষণা এবং দূর অনুধাবন কেন্দ্র (Space Research and Remote Sensing Organization-SPARRSO) যা বাংলাদেশ সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি প্রতিষ্ঠান।
৩৯. CAD কী ?
উ : উৎপাদনের আগে কম্পিউটারে যে টুল ব্যবহার করে পণ্যের ডাফটিং, ডিজাইন, সিমুলেশন প্রভৃতি তৈরি করা হয় তাকে CAD
(Computer Aided Design) বলে।
৪০. CAM কী ?
উ : কম্পিউটারের যে "টুলসমূহের সাহায্যে পণ্য প্রস্তুতের যন্ত্রপাতিসমূহকে নিয়ন্ত্রণ করা হয় তাকে কম্পিউটার এইডেড ম্যানুফ্যাকচারিং বা CAM বলে।
৪১. ড্রোন কী ?
উ ; ড্রোন হলো এমন একধরনের উড়োজাহাজ বা বিমান যা পাইলট ছাড়া চলাচল করে।
৪২. বায়োমেট্রিক্স কী?
উ : বায়োমেট্রিক্স হলো বায়োলজিক্যাল ডেটা মাপা এবং বিশ্লেষণ করার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি।
৪৩. ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিডার কী ?
উ ; যে বায়োমেট্রিক্স ডিভাইসে মানুষের আঙুলের ছাপ ইনপুট গ্রহণ করার পর তা পূর্বে সংরক্ষিত টেম্পলেটের সাথে ম্যাচ করে ব্যক্তিকে অদ্বিতীয়ভাবে শনাক্ত করা হয় তাকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিডার বলে।
৪৪. ফেস রিকগনিশন কী?
উ : যে বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতিতে মানুষের মুখের জ্যামিতিক আকার ও গঠনকে পরীক্ষা করে উক্ত ব্যক্তিকে অদ্বিতীয়ভাবে শনাক্ত করা
হয় তাকে ফেইস রিকগনিশন সিস্টেম বলে।
৪৫. হ্যান্ড জিওমেট্রি কী?
উ : যে বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতিতে মানুষের হাতের জ্যামিতিক আকার ও গঠন বিশ্লেষণ করে ব্যক্তিকে অদ্বিতীয়ভাবে শনাক্ত করা হয় তাকে হ্যান্ড জিওমেট্রি সিস্টেম বলে।
৪৬. DNA ফিঙ্গারপ্রিন্ট কী ?
উ : DNA ফিঙ্গারপ্রিন্ট হলো একটি অত্যাধুনিক পদ্ধতি যার মাধ্যমে কোষের মধ্যে অবস্থিত DNA বিশ্লেষণ করে কোনো মানুষের একটি প্রোফাইল বা প্রতিকৃতি তৈরি করা হয় যেটি উক্ত ব্যক্তিকে সঠিকভাবে শনাক্ত করতে ব্যবহৃত হতে পারে।
৪৭. বায়োইনফরমেটিক্স কী?
উ : বায়োইনফরমেটিক্স হলো বিজ্ঞানের একটি শাখা যেখানে বায়োলজিক্যাল ডেটা এনালাইসিস করার জন্য কম্পিউটার প্রযুক্তি,
ইনফরমেশন থিয়োরি এবং গাণিতিক জ্ঞানকে ব্যবহার করে।
৪৮. DNA কী?
উ : ডিএনএ (ডি-অক্সিরাইবোনিউক্লিক এসিড) হলো সকল জৈব বস্তুর অভ্যন্তরে বিদ্যমান একটি সেলফ রেপ্লিকেটিং অণু যা জীবের
ক্রোমোজোমের অন্যতম মূল একটি উপাদান।
৪৯. জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং কী?
উ: কোনো জীব থেকে একটি নির্দিষ্ট জিন (Gene) বহনকারী DNA (Deoxyribonucleic acid) পৃথক করে ভিন্ন একটি জীবে স্থানান্তরের কৌশলকে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বলে।
৫০. রিকম্বিনেন্ট DNA প্রযুক্তি কী?
উ: জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এ যে কৌশল অবলম্বন করে এক জীবের কোষ থেকে অন্য জীবে স্থানান্তর করা হয় তাদেরকে একত্রে রিকম্বিনেন্ট DNA প্রযুক্তি বলে।
৫১. ট্রান্সজেনিক উদ্ভিদ কী?
উ: রিকম্বিনেন্ট DNA প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে যে উন্নতজাতের কৃষিজাত ফসল বা উদ্ভাবন করা তাকে ট্রান্সজেনিক উদ্ভিদ হয় উদ্ভিদ বলে।
৫২. ন্যানোটেকনোলজি কী?
উ: ন্যানোস্কেলে কোনো বস্তুর আণবিক পর্যায়ের গঠন, বিশ্লেষণ এবং তা সুনিপুণভাবে কাজে লাগিয়ে অতি ক্ষুদ্র ডিভাইস তৈরি
করার প্রযুক্তিকে ন্যানোটেকনোলজি বলে।
৫৩. ন্যানোমিটার কী?
উ: এক মিটারের ১০০ কোটি ভাগের এক ভাগ হলো এক ন্যানোমিটার (১ ন্যানোমিটার ১০ মিটার)
৫৪. নৈতিকতা কী?
উ: নৈতিকতা হলো সুনির্দিষ্ট কিছু নৈতিক ধারণা যা মানুষ নিজের ভেতর ধারণ করে এবং এগুলো কারো সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলের দ্বারা
অতিমাত্রায় প্রভাবিত হয়।
৫৫. হ্যাকার কী?
উ: কম্পিউটার প্রোগ্রাম ব্যবহার করে কোনো কম্পিউটার সিস্টেম বা নেটওয়ার্কের ক্ষতিসাধন করাকে হ্যাকিং বলে এবং আর হ্যাকিং যারা করে তাদেরকে হ্যাকার বলে অভিহিত করা হয়।
৫৬. সাইবার ক্রাইম কী?
উ: সাইবার ক্রাইম বলতে ইন্টারনেট তথা সাইবার স্পেসকে কেন্দ্র করে সংগঠিত যে সকল অপরাধ সংগঠিত হয় সেগুলোকে বোঝানো হয়।
৫৭. স্প্যামিং কী?
উ: অনাকাঙিক্ষত বাল্ক মেসেজসমূহ ব্যাপকভাবে প্রেরণে ইলেকট্রনিক মেসেজিং সিস্টেমকে ব্যবহার করার প্রক্রিয়াকে স্প্যামিং বলা হয়।
৫৮. ফিশিং (Fishing) কী?
উ: হ্যাকার কর্তৃক ব্যবহারকারীকে ফাঁদে ফেলে তার সকল ব্যক্তিগত তথ্য হ্যাক করে স্বর্বস্বান্ত করাকে ফিশিং বলা হয়।
৫৯.প্লেজিয়ারিজম কী?
উ: তথ্যসূত্র উল্লেখ ব্যতীত কোন ছবি, অডিও, ভিডিও সহ যে কোনোতথ্য ব্যবহার করা একটি অপরাধ যাকে প্লেজিয়ারিজম বলে।
৬০. ই গভর্নেন্স কী?
উ: তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে সরকারি সেবাসমূহ প্রদান করা এবং সরকারি কাজকর্মকে পরিচালনা করাকে ই- গর্ভনেন্স বলে।
Thank you so much brother.
ReplyDeleteThanks a million 🙂
ReplyDelete