PDF সার্চ করুন:

নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের নিচের 👇 চ্যানেলে Join করুন

☝️☝️
Join our channels

অষ্টম শ্রেণির ICT: ৩য় অধ্যায়- সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর পর্ব ২

অধ্যায়-৩ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন : হ্যাকারের প্রকারভেদ লেখ।

উত্তর: যারা সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষের বা ব্যবহারকারীর বিনা অনুমতিতে তার কম্পিউটার সিস্টেম বা নেটওয়ার্কে প্রবেশ করে, তাদের বলা হয় কম্পিউটার হ্যাকার। হ্যাকারদের বিভিন্ন দলে ভাগ করা হয়। যথা: ১. হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার ২. বø্যাক হ্যাট হ্যাকার ও ৩. গ্রে হ্যাট হ্যাকার।

নিচে এদের সম্পর্কে বণর্না দেয়া হলো :
১. হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার: কোনো সিস্টেমের উন্নতির জন্য সেটির নিরাপত্তা ছিদ্রসমূহ খুঁজে বের করে। এদের এথিক্যাল হ্যাকারও বলা হয়।
২. বø্যাক হ্যাট হ্যাকার: এরা অসৎ উদ্দেশ্যে কম্পিউটারের ক্ষতি করে থাকে।
৩. গ্রে হ্যাট হ্যাকার : এরা নিরাপত্তাব্যবস্থা দুবর্ল করে কম্পিউটারকে ক্ষতি করে থাকে।

প্রশ্ন : ট্রোজান হর্স এবং কম্পিউটার ওয়ার্মের সংক্রমণ পদ্ধতি লেখ।

উত্তর: ট্রোজান হর্স এবং ওয়ার্ম উভয়ই কম্পিউটারে সংক্রমিত হয়ে ক্ষতি করলেও এদের সংক্রমণ পদ্ধতি একেবারেই আলাদা। কম্পিউটার ওয়ামর্ একটি ক্ষতিকর প্রোগ্রাম। ব্যবহারকারীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই নেটওয়ার্কে ছড়িয়ে পড়ে এবং নেটওয়াকের্র অন্যান্য কম্পিউটারকে সংক্রমিত করে। ওয়ার্ম নিজেই নেটওয়ার্ক থেকে নেটওয়ার্কে ছড়িয়ে পড়ে এবং নেটওয়াকের্র কম্পিউটারকে আক্রান্ত করে।
অন্যদিকে ট্রোজান হর্স হলো ছদ্মবেশধারণকারী সফটওয়্যার, যা কোনো ভালো সফটওয়্যারের ছদ্মাবরণে নিজেকে আড়াল করে রাখে। ক্ষতিকর সফটওয়্যারের উদ্দেশ্য তখনই সফল হয়, যখন কিনা সেটিকে ক্ষতিকারক সফটওয়্যার হিসেবে চিহ্নিত করা যায় না। ব্যবহারকারী সরল বিশ্বাসে সেটিকে ব্যবহার করে। এটিই হলো ট্রোজান হর্স বা ট্রোজানের কাযর্পদ্ধতি। যখনই ছদ্মবেশী সফটওয়্যারটি চালু হয়, তখনই ট্রোজানটি কাযর্কর হয়ে ব্যবহারকারীর ফাইল ধ্বংস করে বা নতুন নতুন ট্রোজান আমদানি করে। অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে যে ক্ষতিকর বিভিন্ন সফটওয়্যারের মধ্যে ট্রোজান হর্স বা ওয়ামের্র সংখ্যা কম্পিউটার ভাইরাসের চেয়ে বেশি। অথচ আমরা এ দুটি ম্যালওয়্যার সম্পর্কে  তেমন একটা সচেতন নই।

প্রশ্ন : রেসিডেন্ট ভাইরাস ও নন-রেসিডেন্ট ভাইরাসের মধ্যে পাথর্ক্য লেখ।

উত্তর : রেসিডেন্ট ভাইরাস ও নন-রেসিডেন্ট ভাইরাসের মধ্যে বেশ কিছু পাথর্ক্য বিদ্যমান। নিচে তা দেয়া হলো :
রেসিডেন্ট ভাইরাস
১. এটি স্থায়ী ভাইরাস।
২. এটি মেমোরিতে স্থায়ী হয়ে বসে থাকে।
৩. এ ভাইরাস মেমোরিতে স্থায়ী হয়ে বসে থাকে। যখনই কোনো প্রোগ্রাম চালু হয়, তখনই সেটি সেই প্রোগ্রামকে চালু করে।
৪. এটি সংক্রমণ শেষ হওয়ার পরও কমের্ক্ষত্রে অবস্থান করে।

নন-রেসিডেন্ট ভাইরাস
১. এটি অস্থায়ী ভাইরাস।
২. এটি মেমোরিতে থাকে না।
৩. এ ভাইরাস সক্রিয় হয়ে ওঠার পর, অন্য কোন কোন প্রোগ্রামকে সংক্রমণ করা যায় তা খুঁজে বের করে। তারপর সেগুলোকে সংক্রমণ করে।
৪. এটি কাজ শেষ হওয়ার পর মূল প্রোগ্রামের কাছে নিয়ন্ত্রণ দিয়ে নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Thanks For Visiting ❤️
Ok, Go it!